রাদারফোর্ড প্রদত্ত পরমাণু মডেলটি বিশ্লেষণ কর।

সৌর জগতের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ পরমাণু মডেলটি ব্যাখ্যা কর।
নিউক্লিয়াস সম্পর্কে ধারণা প্রদানকারী পরমাণু মডেলটি ব্যাখ্যা কর।
রাদারফোর্ড প্রদত্ত পরমাণু মডেলটি বিশ্লেষণ কর।



রাদারফোর্ড প্রদত্ত পরমাণু মডেলটি নিউক্লিয়াস সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। নিম্নে এই পরমাণু মডেলটি বিশ্লেষণ করা হলো-

  • গোলাকার পরমাণুর কেন্দ্রস্থলে একটি ধনাত্মক চার্জ বিশিষ্ট ভারী বস্তু বিদ্যমান। এই ভারী বস্তুকে পরমাণুর কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াস বলা হয়। পরমাণুর মোট আয়তনের তুলনায় নিউক্লিয়াসের আয়তন অতি নগন্য।
  • গোলাকার পরমাণুর দুটি অংশ রয়েছে। যেমন- কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াস; এবং  কেন্দ্র বহির্ভূত অঞ্চল;
  • পরমাণুর সমস্ত ধনাত্মক চার্জ ও প্রায় সমস্ত ভর নিউক্লিয়াসে কেন্দ্রীভূত। তাই মোটামুটিভাবে নিউক্লিয়াসের ভরই পারমাণবিক ভর
  • পরমাণু বিদ্যুৎ নিরপেক্ষ। তাই নিউক্লিয়াসের ধনাত্মক চার্জ সংখ্যার সমান সংখ্যক ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ইলেকট্রন থাকে।
  • সৌরজগতে সূর্যের চারদিকে ঘূর্ণায়মান গ্রহ সমূহের মতো পরমাণুর ইলেকট্রন গুলো এর কেন্দ্রস্থ নিউক্লিয়াসের চারদিকে নিজ নিজ কক্ষপথে সর্বদা ঘূর্ণায়মান থাকে। তাই একে সৌর মডেলও বলা হয়।
  • ধনাত্মক চার্জবিশিষ্ট নিউক্লিয়াসের ও ঋণাত্মক চার্জবিশিষ্ট ইলেট্রনসমূহের পারস্পরিক স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণজনিত কেন্দ্রমুখী বল এবং আবর্তনশীল ইলেকট্রনের কেন্দ্র বহির্মুখী বল পরস্পর সমান ও বিপরীতমুখী, অর্থাৎ, পরস্পরকে ব্যালেন্সড বা সমভার করে (counter-balanced).



Post a Comment